২০২৪ এর মার্কিন নির্বাচনে, ট্রাম্প বা হ্যারিস কে জিতলে কী হবে? বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কে কী প্রভাব পড়বে?
মা.র্কি.ন নি.র্বা.চন, ট্রাম্প বা হ্যারিস কে জিতলে কী হবে? বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কে কী প্রভাব পড়বে?
যুক্তরাষ্ট্রের ইউলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও লেখকদের মতে:
১। ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্তমান সম্পর্কের কাঠামোকে সমর্থন করবেন, যেখানে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে উন্নয়ন, সংস্কার ও অন্যান্য সহায়তা বা সমর্থন করছে।
২। ট্রাম্প ও তার প্রশাসন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রদানের ওপর জোর দেয়ার মতো সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী হবে না।
৩। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে বিশ্বজুড়েই আমেরিকার মানবিক সহযোগিতার জায়গা কমে আসতে পারে।
৪। বৈদেশিক নীতির জায়গাগুলোতে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে।
৫। ট্রাম্প জয়ী হলে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে ভারত ভূমিকা পালন করতে চাইবে।
৬। ভারতের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক না হলে সেখানে ভারতের দিক থেকে এক ধরনের নেতিবাচক উপাদান থাকার একটা শঙ্কা থাকবে।
৭। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে ভারতের প্রভাব বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৮। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট- দুই পার্টির সিনিয়র নেতাদের সাথেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভালো সম্পর্ক থাকায় এবং দুই শিবিরেই তার বন্ধু থাকায় এই নির্বাচনের ফলাফলে দুই দেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ-আমেরিকার সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না বলা হলেও, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে বাস্তবতা ভিন্ন হতে পারে। কেননা ইউনুস অতীতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন ২০১৬ সালে যখন ট্রাম্প নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তাদের রাজনৈতিক আদর্শ বা মতাদর্শের জায়গা ভিন্ন।
৯। কমলা হ্যারিস জিতলে ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের সম্পর্কের জন্য একটা সম্পদ হবেন, কারণ বাইডেন প্রশাসনের মতো কমলার ক্ষেত্রেও একটা স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা থাকবে।
১০। কমলা হ্যারিস জিতলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সুসম্পর্কের কারণে বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারত-
যুক্তরাষ্ট্রের মতভেদ বাড়ার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন মাইকেল কুগেলম্যান।
হ্যারিস বা ট্রাম্প, যেই প্রেসিডেন্ট হোক না কেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিতে একটা নির্ভরযোগ্যতার জায়গা প্রতিষ্ঠা করতে হবে মনে করেন বিশ্লেষকরা।


No comments