🚨 বাংলাদেশ পুলিশ নিয়ে কিছু কথা 🚨
পুলিশকে রাজনৈতিক দাসত্ব থেকে মুক্তি দেওয়া এবং জনগণকে ভোগান্তি থেকে মুক্তি দেবার জন্য নিচের দুটি কার্যক্রম গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি—
- যেভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রাষ্ট্রপতির অধীনস্থ, ঠিক সেভাবেই বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সরাসরি একটি স্বতন্ত্র বাহিনী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহিমূলক থেকে কাজ করবে। এর ফলে যেসব উপকার পাওয়া যাবে, তা হলো:
প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের বডি ক্যামেরা থাকার কারণে, যদি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি পুলিশের স্বাধীন কার্যক্রমে বাধা দিতে চায়, তবে তা রেকর্ড আকারে থেকে যাবে এবং প্রয়োজনে প্রকাশ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি, কোনো পুলিশ সদস্য বা কর্মকর্তা চাইলেও জরুরি মুহূর্তে কোনো অন্যায় সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না, কারণ তার সকল কার্যক্রম বডি ক্যামেরায় সংরক্ষিত থাকবে।
যেহেতু পুলিশ বাহিনী সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর অধীনে থাকবে, তাই পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য কোনো মন্ত্রী বা মধ্যস্থ ব্যক্তি প্রয়োজন পড়বে না। দেশের সকল বৃহৎ সিদ্ধান্ত ও আদেশ-নির্দেশ সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমেই আসবে এবং যদি পুলিশ কোনো ভুল করে, তার জবাবদিহিতা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকেই করতে হবে। ফলে, প্রধানমন্ত্রী নিজেও সতর্ক থাকবেন যেন পুলিশ বাহিনীকে সঠিকভাবে ও দায়িত্বশীলভাবে পরিচালনা করেন এবং কোনো বিতর্ক বা সমালোচনার মুখে না পড়েন।
বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল কি চায়, উন্নত দেশগুলোর মতো একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, জনগণের বন্ধু পুলিশ বাহিনী গড়ে উঠুক?
নাকি তারা চায়, পুলিশকে একটি ব্যক্তিগত লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করে, জনগণের উপর চাপিয়ে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে?
এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে উত্তেজনা ও অস্থিরতা চিরকাল বিদ্যমান থাকবে।
এবং যেকোনো সংস্কার সংঘটিত করতে হলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করেই করতে হয়। তবে আমি বিশ্বাস করি, যদি দেশের প্রতিটি সুনাগরিক এই ভাবনা হৃদয়ে ধারণ করে, তবে আজ নয়তো কাল একদিন ইনশাআল্লাহ, আমরা সভ্য রাষ্ট্রেগুলোর মতো গঠনমূলক ও কার্যকর পুলিশ সংস্কার বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব। পুলিশ আমাদের শত্রু নয়, পুলিশ আমাদের বন্ধু। কিন্তু রাজনৈতিক স্বার্থে তাদেরকে আমাদের শত্রু বানিয়ে দেওয়া হয়, এবং এটি অবশ্যই পরিবর্তনের প্রয়োজন।
- TheTawhid #thetawhid


No comments